১৯৭০–৭১ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ১৯৭০–৭১ |
---|---|
তারিখ | ১৫ আগস্ট ১৯৭০ – ৫ জুন ১৯৭১ |
চ্যাম্পিয়ন | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ২য় বুন্দেসলিগা শিরোপা ২য় জার্মান শিরোপা |
অবনমন | কিকার্স অফেনবাখ রট-ভাইস এসেন |
ইউরোপীয় কাপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ |
কাপ উইনার্স কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
উয়েফা কাপ | হের্টা আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ হামবুর্গার কলন |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯১৪ (ম্যাচ প্রতি ২.৯৯টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | লোটার কোবলুন (২৪টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | ওবারহাউজেন ৮–১ হামবুর্গার (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭০) বায়ার্ন মিউনিখ ৭–০ কলন (১৫ মে ১৯৭১) |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | কাইজারস্লাউটার্ন ০–৫ স্টুটগার্ট (৫ ডিসেম্বর ১৯৭০) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | ওবারহাউজেন ৮–১ হামবুর্গার (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭০) ডর্টমুন্ড ৭–২ এসেন (৮ মে ১৯৭১) |
← ১৯৬৯–৭০ ১৯৭১–৭২ → |
১৯৭০–৭১ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৮ম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৭০ সালের ১৫ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৭১ সালের ৫ই জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] রট-ভাইস ওবারহাউজেনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ভাল্টার হনহাউজেন এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৬৯–৭০ মৌসুমে ৫১ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ টানা দ্বিতীয়, সর্বমোট ২য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২য় বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। রট-ভাইস ওবারহাউজেনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় লোটার কোবলুন ২৪ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন[সম্পাদনা]
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক লিগে অবনমিত হয়েছিল।
দল[সম্পাদনা]
১৯৬৯–৭০ মৌসুম শেষে ১৮৬০ মিউনিখ এবং আলেমানিয়া আখেন মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে আরমিনিয়া বিলেফেল্ড এবং কিকার্স অফেনবাখ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | মাঠ[৩] | ধারণক্ষমতা[৩] |
---|---|---|
হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | আলম স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | রোটে আর্ডে স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
রট-ভাইস এসেন | গেওর্গ মেলশেস স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
হানোফার ৯৬ | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৮৬,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
রট-ভাইস ওবারহাউজেন | নিডার রাইন স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
কিকার্স অফেনবাখ | বিবারার বার্গ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
শালকে | গ্লুকাউফ-কাম্পবান | ৩৫,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা[সম্পাদনা]
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (C) | ৩৪ | ২০ | ১০ | ৪ | ৭৭ | ৩৫ | +৪২ | ৫০ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ১৯ | ১০ | ৫ | ৭৪ | ৩৬ | +৩৮ | ৪৮ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | হের্টা | ৩৪ | ১৬ | ৯ | ৯ | ৬১ | ৪৩ | +১৮ | ৪১ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ১৬ | ৭ | ১১ | ৫২ | ৪০ | +১২ | ৩৯ | |
৫ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৫৪ | ৬৩ | −৯ | ৩৭ | |
৬ | শালকে | ৩৪ | ১৫ | ৬ | ১৩ | ৪৪ | ৪০ | +৪ | ৩৬ | |
৭ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১২ | ১১ | ১১ | ৪৩ | ৪৭ | −৪ | ৩৫ | |
৮ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৫ | ৪ | ১৫ | ৫৪ | ৫৭ | −৩ | ৩৪ | |
৯ | হানোফার ৯৬ | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৫৩ | ৪৯ | +৪ | ৩৩ | |
১০ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১১ | ১১ | ১২ | ৪১ | ৪০ | +১ | ৩৩ | |
১১ | কলন | ৩৪ | ১১ | ১১ | ১২ | ৪৬ | ৫৬ | −১০ | ৩৩ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
১২ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৪৯ | ৪৯ | ০ | ৩০ | |
১৩ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১০ | ৯ | ১৫ | ৫৪ | ৬০ | −৬ | ২৯ | |
১৪ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | ৩৪ | ১২ | ৫ | ১৭ | ৩৪ | ৫৩ | −১৯ | ২৯ | |
১৫ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১১ | ৬ | ১৭ | ৩৯ | ৫৬ | −১৭ | ২৮ | |
১৬ | রট-ভাইস ওবারহাউজেন | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৫৪ | ৬৯ | −১৫ | ২৭ | |
১৭ | কিকার্স অফেনবাখ (R) | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৪৯ | ৬৫ | −১৬ | ২৭ | রেগিওনাললিগায় অবনমিত |
১৮ | রট-ভাইস এসেন (R) | ৩৪ | ৭ | ৯ | ১৮ | ৪৮ | ৬৮ | −২০ | ২৩ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ বায়ার্ন মিউনিখ কাপ উইনার্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ১৯৭০–৭১ ডিএফবি-পোকালের রানার-আপ কলনকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল[সম্পাদনা]
শীর্ষ গোলদাতা[সম্পাদনা]
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | লোটার কোবলুন | রট-ভাইস ওবারহাউজেন | ২৪ |
২ | গের্ড মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | ২২ |
৩ | কার্ল-হাইনৎস ভোগট | কাইজারস্লাউটার্ন | |
৪ | লরেনৎস হোর | হের্টা | ২০ |
৫ | হারবার্ট লোমেন | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | |
৬ | ইয়োসেফ হাইনকেস | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১৯ |
৭ | ফার্ডিনান্ড কেলার | হানোফার ৯৬ | |
৮ | উইলি লিপেন্স | রট-ভাইস এসেন | |
৯ | লোটার উলসাস | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ১৮ |
১০ | হার্টমুট ভাইস | স্টুটগার্ট | ১৫ |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Archive 1970/1971 Schedule"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Rot-Weiss Essen - Hannover 96 2:0 (Bundesliga 1970/1971, 1. Round)"। worldfootball.net। ৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 978-3-89784-147-5।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৭০–৭১ বুন্দেসলিগা (জার্মান)