ফরিদপুর জেলা
ফরিদপুর জেলা | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩০′০″ উত্তর ৮৯°৪৯′৪৮″ পূর্ব / ২৩.৫০০০০° উত্তর ৮৯.৮৩০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৮০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ভৌগোলিক সীমানা
আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার, ফরিদপুর জেলা ৮৯.২৯০পূর্ব হতে ৯০.১১০পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২৩.১৭০উত্তর হতে২৩.৪০০উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত, উত্তরে রাজবাড়ি ও মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণেগোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা ও নড়াইল জেলা এবং পূর্বে মাদারিপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা অবস্থিত।
ইতিহাস
ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ’’। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭ খ্রিঃ ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারিপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহকুমা সমন্বয়ে ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতা পায়। বর্তমানে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ফরিদপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর ও শরিয়তপুর এই পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
এই এলাকার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে গারোদা মসজিদ (১০১৩ হিজরি), পাথরাইল মসজিদ ও দিঘী (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ), সাতৈর মসজিদ (১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ)। এলাকার অন্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো ফতেহাবাদ টাঁকশাল (১৫১৯-৩২ খ্রিস্টাব্দ), মথুরাপুরের দেয়াল, জেলা জজ কোর্ট ভবন (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ), এবং ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ), বসুদেব মন্দির ও জগবন্ধু আঙিনা।[১]
ততৎকালিন ফরিদপুর এর মাদারিপুর থেকে হাজি শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলন শুরু করেন। শরীয়তুল্লাহের পুত্র দুদু মিয়ার নেতৃত্বে এখানে নীল কর বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো আলফাডাঙা উপজেলার মীরগঞ্জে, যার ম্যানেজার ছিলেন এসি ডানলপ। এ জেলার ৫২টি নীল কুঠি এর অন্তর্ভূক্ত ছিল। গড়াই, মধুমতি ও বরশিয়া নদীর তীরে নীল চাষ হতো।
জেলা শহর বর্তমানে কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। ফরিদপুর পৌরসভা সৃষ্টি হয় ১৮৬৯ সালে। ৯টি ওয়ার্ড ৩৫টি মহল্লা নিয়ে জেলা শহর গঠিত। এর আয়াতন ২০.২৩ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
ফরিদপুর জেলায় মোট পৌরসভা ৪টি, ওয়ার্ড ৩৬টি, মহল্লা ৯২টি, ইউনিয়ন ৭৯টি, গ্রাম ১৮৫৯টি। মোট উপজেলা ৯টি। সেগুলো হচ্ছেঃ
- ফরিদপুর পৌরসভা
- ফরিদপুর সদর উপজেলা
- বোয়ালমারী উপজেলা
- আলফাডাঙা উপজেলা
- মধুখালী উপজেলা
- ভাঙ্গা উপজেলা
- নগরকান্দা উপজেলা
- চর ভদ্রাসন উপজেলা
- সদরপুর উপজেলা
- সালথা উপজেলা
প্রত্নসম্পদ
- মথুরাপুর দেউল
- পাতরাইল মসজিদ
- সাতৈর মসজিদ
- শ্রী অঙ্গন
- শিব মন্দির
- দোলমঞ্চ
- নারায়ণ মন্দির
- পঞ্চরত্ন সমাধি
- নব-রত্ন সমাধি
- দুর্গা মন্দির
- কাচারি বাড়ি
- শিকদার বাড়ি
- গেরদা ফলক
- ময়েজ মঞ্জিল
অর্থনীতি
এই এলাকার অর্থনীতি মুলত পাট কেন্দ্রিক । ফরিদপুর পাট এর জন্য বিখ্যাত । ফরিদপুর বাংলাদেশ এর অন্যতম বড় নদী বন্দর। এখান থেকে পাট নদী পথে সারা দেশে চলে যেত।
চিত্তাকর্ষক স্থান
ফরিদপুর জেলার চিত্তাকর্ষক স্থানগুলার মদ্ধে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে,
- নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট
- সুইচ গেট
- ধলার মোড় (পদ্মার পাড়)
- রাজেন্দ্র কলেজ (সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ)
- পদ্মা বাধ
- পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাসভবন।
- পদ্মা নদীর বালুচর,সি এন্ড বি ঘাট
জনসংখ্যা
১৭,৪২,৭২০ জন (২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)[২]
- পুরুষ- ৮,৯৩,২৮০ জন
- মহিলা- ৮,৪৯,৪৪০ জন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ৪২৪, এই জেলায় শিক্ষার হার ৩৭.৪৪ %
- বিশ্ববিদ্যালয়: ১
- কলেজ: ৪৮
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২৩৪
- মেডিকাল কলেজ : ১
- মাদ্রাসা: ১৪১
- তারার মেলা ঈশাণ মেমরিয়াল আধুনিক শিশু বিদ্যালয়
- ফরিদপুর জিলা স্কুল
- বোয়ালমারী জর্জ একাডেমি , বোয়ালমারী, ফরিদপুর
- ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
প্রধান শস্য
ফরিদপুর জেলায় প্রধান শস্যর তালিকায় রয়েছে, ধান, পাট, গম ও ডাল। এর মধ্যে রপ্তানী যোগ্য পণ্য পাট, পিয়াজ, ডাল, খেজুরের গুড় ইত্যাদি।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- হাজী শরীয়তুল্লাহ, ফরায়েজী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ৷
- অম্বিকাচরন মজুমদার, সভাপতি;ভারতীয় কংগ্রেস(১৯২৬-১৯২৮)
- আবদুল খালেক, ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী, অবিভক্ত ভারতের কংগ্রেস নেতা, পরবর্তীতে নেতাজী সুভাষ বসুর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স-এর কেন্দ্রীয় নেতা।
- মুন্সি আব্দুর রউফ, বীরশ্রেষ্ঠ
- আলাওল, মধ্যযুগের কবি
- কাজী মোতাহার হোসেন, শিক্ষাবিদ, পরিসংখ্যানবিন, সাহিত্যিক
- জসীম উদ্দিন, পল্লীকবি
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ঔপন্যাসিক, কবি
- নরেন্দ্রনাথ মিত্র, ঔপন্যাসিক
- মীর মশাররফ হোসেন, ঔপন্যাসিক
- হাবিবুল বাশার, ক্রিকেটার
- হুমায়ুন কবির, শিক্ষাবিদ
- মৃণাল সেন, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক।
- অমল বোস, অভিনেতা
- রোজিনা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- অঞ্জু ঘোষ, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- রিয়াজ, চলচ্চিত্র অভিনেতা (তাঁর জন্ম ফরিদপুর হলেও পৈতৃক বাসস্থান যশোর জেলায়)
- ফজলুর রহমান বাবু , অভিনেতা, গায়ক
- তারেক মাসুদ , চলচ্চিত্রকার
- কাজী সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ
- শাহ আবু জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ
- ড. এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার
- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সংসদ সদস্য, সংসদ উপনেতা, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী
চিত্রাবলী
-
পল্লী কবি জসীম উদ্দীন
-
ফরিদপুর জেলা ষ্টেডিয়াম
-
শেখ মুজিবুর রহমান (মার্চ ১৭, ১৯২০ - আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পুরোধা এবং বাংলাদেশের জাতির জনক
-
অভিনেতা রিয়াজ বনানী নিজ ফ্ল্যাটের ছাদে ২০১১
আনুষঙ্গিক নিবন্ধ
তথ্যসূত্র
- ↑ ফরিদপুর জেলা, বাংলাপিডিয়া।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;nwp
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |