রাজশাহী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
স্টেশন,ট্রেনের নাম যোগ করা হলো ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
বানান সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৫৮ নং লাইন: | ৫৮ নং লাইন: | ||
[[চিত্র:PadmaRiver.jpg|right|thumb|220px|রাজশাহী শহরের পাশদিয়ে বয়ে চলেছে পদ্মা নদী।এটি পাশে গড়ে উঠেছে সুন্দর পাড় বাধ ও দর্শনীয় স্থান। প্রতিদিন বহু মানুষ এই খানে অাসেন]] |
[[চিত্র:PadmaRiver.jpg|right|thumb|220px|রাজশাহী শহরের পাশদিয়ে বয়ে চলেছে পদ্মা নদী।এটি পাশে গড়ে উঠেছে সুন্দর পাড় বাধ ও দর্শনীয় স্থান। প্রতিদিন বহু মানুষ এই খানে অাসেন]] |
||
[[চিত্র:শীতের পদ্মায় মাছ ধরা.JPG|right|thumb|220px|শীতের পদ্মায় মাছ ধরা]] |
[[চিত্র:শীতের পদ্মায় মাছ ধরা.JPG|right|thumb|220px|শীতের পদ্মায় মাছ ধরা]] |
||
'''রাজশাহী''' বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের (উত্তরবঙ্গের) একটি শহর। রাজশাহী বাংলাদেশের অনত্যম একটি শহর। এটি [[রাজশাহী বিভাগ]] এর [[রাজশাহী জেলা]]র |
'''রাজশাহী''' বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের (উত্তরবঙ্গের) একটি শহর। রাজশাহী বাংলাদেশের অনত্যম একটি শহর। এটি [[রাজশাহী বিভাগ]] এর [[রাজশাহী জেলা]]র অন্তর্গত।রাজশাহী বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত শহর। শহরের প্রতিটি সড়ক অত্যন্ত মনোরম ও সাজানো গোছানো। রাজশাহী শহর বিখ্যাত [[পদ্মা]] নদীর তীরে অবস্থিত। এটি রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় শহর। রাজশাহী শহরের নিকটে প্রাচীন বাংলার বেশ কয়েকটি [[রাজধানী]] শহর অবস্থিত। এদের মাঝে লক্ষণৌতি বা লক্ষনাবতি, পুন্ড্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী তার আকর্ষণীয় [[রেশমীবস্ত্র]] ([[Silk]]), আম, লিচু এবং মিস্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ। রেশমীবস্ত্রের কারনে রাজশাহীকে '''রেশমনগরী (Silk City)''' নামে ডাকা হয়। রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের অনেকগুলির খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। নামকরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য রাজশাহী শহর '''শিক্ষানগরী''' নামেও পরিচিত। রাজশাহী শহরে এবং এর আশেপাশে বেশ কিছু বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক [[মসজিদ]], [[মন্দির]] ও উপাসনালয় তথা ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। |
||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
০৬:২০, ৫ জুলাই ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রাজশাহী শহর | |
---|---|
বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম মহানগরী,মেট্রোপলিটন শহর | |
ডাকনাম: রেশম নগরী, শিক্ষা নগরী, "নির্মল বায়ুর শহর" | |
বাংলাদেশের রাজশাহীতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′ উত্তর ৮৮°৩৬′ পূর্ব / ২৪.৩৬৭° উত্তর ৮৮.৬০০° পূর্ব | |
Country | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | রাজশাহী জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৭১২ |
পৌরসভা | ১৮৭৬ |
সিটি কর্পোরেশন | ১৯৯১ |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র-কাউন্সিল |
• শাসক | রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন |
• সিটি মেয়র | মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল |
আয়তন[১] | |
• বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম মহানগরী,মেট্রোপলিটন শহর | ৩৭.৩৩ বর্গমাইল (৯৬.৬৮ বর্গকিমি) |
উচ্চতা | ৫৯ ফুট (১৮ মিটার) |
জনসংখ্যা (2012 est.)[২] | |
• বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম মহানগরী,মেট্রোপলিটন শহর | ৮,৪২,৭০১ |
• জনঘনত্ব | ২৩,০০০/বর্গমাইল (৮,৭০০/বর্গকিমি) |
• মহানগর | ৪,৭২,৭৭৫ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৬০০০ |
জাতীয় কলিং কোড | +৮৮০ |
কলিং কোড | ০৭২১ |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
রাজশাহী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের (উত্তরবঙ্গের) একটি শহর। রাজশাহী বাংলাদেশের অনত্যম একটি শহর। এটি রাজশাহী বিভাগ এর রাজশাহী জেলার অন্তর্গত।রাজশাহী বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত শহর। শহরের প্রতিটি সড়ক অত্যন্ত মনোরম ও সাজানো গোছানো। রাজশাহী শহর বিখ্যাত পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় শহর। রাজশাহী শহরের নিকটে প্রাচীন বাংলার বেশ কয়েকটি রাজধানী শহর অবস্থিত। এদের মাঝে লক্ষণৌতি বা লক্ষনাবতি, পুন্ড্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্র (Silk), আম, লিচু এবং মিস্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ। রেশমীবস্ত্রের কারনে রাজশাহীকে রেশমনগরী (Silk City) নামে ডাকা হয়। রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের অনেকগুলির খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। নামকরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য রাজশাহী শহর শিক্ষানগরী নামেও পরিচিত। রাজশাহী শহরে এবং এর আশেপাশে বেশ কিছু বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয় তথা ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে।
ইতিহাস
রাজশাহী সুপ্রাচীন ঐতিহ্য মণ্ডিত একটি শহর। অনেক আগে থেকে এই শহরটি প্রাচীন বাংলায় পরিচিত ছিল।
প্রাচীন ও মধ্যযুগ
রাজশাহী ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেন বংশের রাজা বিজয় সেনএর সময়ের রাজধানী বর্তমান রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগে বর্তমান রাজশাহী পরিচিত ছিল রামপুর বোয়ালিয়া নামে। এর সূত্র ধরে এখনও রাজশাহী শহরের একটি থানার নাম বোয়ালিয়া।
আধুনিক যুগ
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
ব্রিটিশ রাজত্বের সময়েও রাজশাহী বোয়ালিয়া নামে পরিচিত ছিল। তখন এটি ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম অঞ্চলের অর্ন্তগত রাজশাহী জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র। রাজশাহীকে সে সময়ে রেশম চাষের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল। তখন রাজশাহীতে একটি সরকারী কলেজ ও রেশম শিল্পের জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। সেসময় থেকে দেশবিভাগের পূর্ব পর্যন্ত পদ্মা নদীর উপর দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী স্টিমার চলাচল করত।
১২ জুন ১৮৯৭ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে রাজশাহী শহরের বেশীরভাগ ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে অনেক ভবন আবার নতুন করে স্থাপিত হয়।
রাজশাহী শহরটি দীর্ঘদিন ধরে পুরনো সংস্কৃতি বজায় রেখে এক প্রকার অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিলো । কিন্তু প্রাচীন এই শহরটি আধুনিকতার পরশে নতুন রুপে সজ্জিত হয় ২০০৯ সালের পর থেকে । ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাবার পর উত্তরবঙ্গের তথা সবচেয়ে বড় বিভাগীয় শহর রাজশাহীকে কোন প্রকার গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিক কারণে বগুড়া শহরকে আধুনিক করে গড়ে তোলেন । আর রাজশাহী শহর পরে থাকেন মান্ধাত্ত্বা আমলের প্রাচীন এক শহরের রুপে । পরবর্তীতে ২০১০ সালের দিকে জনাব খাইরুজ্জামান লিটন রাজশাহীর মেয়র পদে অধিষ্ট হন তখন দৃশ্যপটের পরিবর্তন হতে শুরু করে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি রাজশাহী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মার পাড়কে সংস্কার করে পার্কের রুপ দান করেন । যেখানে শহরের বাসিন্দারা বিকেলে পরিবারের সবার সাথে একান্তে কিছু সময় কাটাতে পারেন । আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে পদ্মার ধারে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধাও দেওয়া হয় তাঁর প্রচেষ্টায় ।
রাজশাহীর তথ্য ও প্রযুক্তি
রাজশাহীতে এখন প্রায় ১৫টি সফটওয়ার ফার্ম আছে। তাছাড়া এখানে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রায় ১০টি ট্রেনিং সেন্টার আছে; যা দিন দিন বাড়ছে। এখানে বড় দুইটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় আইটির লোকবলের কোন অভাব নেই।
মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী
নগর প্রশাসন
রাজশাহী মহানগর রাজশাহী সিটি কপোরেশনের আওতাধীন যা রাসিক নামে পরিচিত। রাজশাহী মহানগরকে রাসিক এর আওতায় ৩০ টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হযেছে।
উল্লেখযোগ্য স্থাপনা
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাদুঘর হচ্ছে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর।[৩][৪] ১৯১৩ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল এটি উদ্বোধন করেন। বাঙালি ইতিহাস, ঐতিহ্য আর স্থাপত্যশিল্পের বিশাল সম্ভার রয়েছে এই বরেন্দ্র যাদুঘরে। এই জাদুঘর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীন ইতিহাস, সংস্কৃতি আর প্রত্নতত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা। প্রতিদিন প্রাচীন হিন্দু, বৌদ্ধ এবং মুসলিম সভ্যতার নিদর্শন দেখতে কয়েকশ' দর্শনার্থী আসেন এখানে। ১৯৬৪ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এই জাদুঘর পরিচালনা করে আসছে। [৫] শনিবার থেকে বুধবার ১০টা থেকে সাড়ে ৫ টা এবং শুধু মাত্র শুক্রবার জাদুঘর দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে জাদুঘরটি। বর্তমানে টিকিট কেটে ঢুকতে হয় এই যাদুঘরে যার মূল্য ৫ টাকা।
গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহঃ
গ্রেটার রোড,শেরশাহ্ রোড,কাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির রোড,স্টেশন রোড,কাজী নজরুল ইসলাম স্বরণী,বিমান-বন্দর রোড,বেগম রোকেয়া রোড,দোশর মন্ডল রোড,রাণীবাজার-টিকাপাড়া রোড,সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট-নিউমার্কেট নতুন সড়ক,তালাইমারি রোড,টিবি রোড,রাজশাহী সিটি বাইপাস সড়ক,অালিফ লাম মিম ভাটা-বাইপাস সড়ক,ক্যান্টনম্যান্ট রোড,টিটিসি রোড,প্যারা মেডিকেল রোড,মহিলা কলেজ রোড,সিএনবি রোড,পুরাতন নাটোর রোড,মালোপাড়া-রাণীবাজার ভায়া সষ্টিতলা কানেকটিং রোড,ভদ্রা-কামরুজ্জামান চত্বর রোড,এছাড়াও অারো রাস্তা রয়েছে।উপরে উল্লেখিতত রাস্তা সমূহ ৪ লেন ও মাঝখানে ডিভাইডার রয়েছে।
রেলওয়ে যোগাযোগঃ
রাজশাহী-ঢাকা,খুলনা,রংপুর,চিলাহাটি,দিনাজপুর,কুষ্টিয়া,অামের রাজধানী চাপাই নবাবগঞ্জ,নাটোর,সিরাজগঞ্জ,টাঙ্গাইল,গাজিপুর,বগুড়া,সৈয়দপুর প্রতিদিন অান্তঃনগর,লোকাল,মেইল ট্রেন চলে।
রাজশাহী শহর এ ৩ টি স্টেশন রয়েছে একটি "রাজশাহী স্টেশন","বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন,ও কোর্ট স্টেশন স্টেশন"
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
- বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী কলেজ
- রাজশাহী সিটি কলেজ
Engineering And Survey Institute,Rajshahi
- নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ
- বিনোদপুর কলেজ
- রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
- গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুল,রাজশাহী
- রাজশাহী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
- রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল
- শাহ্ মখদুম কলেজ, রাজশাহী
- রাজশাহী সিরোইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
- রাজশাহী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
তথ্যসূত্র
- ↑ "Area, Population and Literacy Rate by Paurashava –2001" (পিডিএফ)। Bangladesh Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৯।
- ↑ "Statistical Pocket book 2008, Bangladesh Bureau of Statistics"
- ↑ "All about Rajshahi"। amaderrajshahi.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "জেলা প্রশাসনের পটভূমি"। dcrajshahi.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "শতবর্ষে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর"। prothom-alo.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন, ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)