(Go: >> BACK << -|- >> HOME <<)

বিষয়বস্তুতে চলুন

আলতাব আলী পার্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিমন২০১০ (আলোচনা | অবদান)
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:লন্ডনের উদ্যান যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
<references/>
<references/>

[[বিষয়শ্রেণী:লন্ডনের উদ্যান]]


[[en:Altab Ali Park]]
[[en:Altab Ali Park]]

১২:১০, ৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার

আলতাব আলী পার্ক এডলার স্ট্রীট, হোয়াইট চার্চ লেন এবং হোয়াইটচ্যাপেল হাই স্ট্রীট, লন্ডন ই১ (ইওয়ান)[১] এ অবস্থিত একটি ছোট পার্ক, যেটির আগের নাম ছিল সেন্ট মেরিস পার্ক এটি ১৪শতকের পুরনো হোয়াইটচ্যাপেল, সেন্ট মেরি মার্টফেলেন এর অংশ যা থেকে হোয়াইটচ্যাপেল এলাকার নামকরন।[২]

আলতাব আলী পার্কের নাম করন করা হয় শহীদ আলতাব আলীর নামে যিনি ছিলেন বৃটেনে অভিবাসী বাংলাদেশি ফ্যাক্টরী শ্রমিক, ১৯৭৮ সালের ৪মে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পূর্ব লন্ডনের এডলার স্ট্রিটে বর্ণবাদীদের হাতে খুন হন।[৩][৪] ১৯৯৮ সালে পূর্ব লন্ডনের এডলার স্ট্রীট, ওয়াইট ছারছ লেন এবং ওয়াইট চ্যাপল হাই স্ট্রীটস্থ সেন্ট মেরিস পার্ককে আলতাব আলী পার্ক নামকরণ করা হয়।[৫]

আলতাব আলী পার্কে শহীদ মিনার বানানোর ইতিহাস

১৯৯৯ সালে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের দক্ষিন প্রান্তে একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয় যেটি বাঙালির ভাষা-শহীদদের স্মরণে বহির্বিশ্বের বানানো প্রথম শহীদ মিনার। [৬] [৭]তার আগে ব্রিটেনে বাঙালি কমিউনিটির সর্ববৃহৎ ও প্রচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের সাড়ে বায়ান্নো হ্যানবারি স্ট্রিটের একটি হলে অস্থায়ী শহীদমিনার তৈরি করে এই শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হতো। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে খোলা আকাশের নিচে একটি শহীদমিনার প্রতিষ্ঠার জন্যে স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। এমনি এক পর্যায়ে ৮০ এর দশকে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ আলতাব আলীর নামে নামকরণ করে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল রোডের পার্কে ১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে প্রথম অস্থায়ীভাবে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করে।টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সঙ্গে এ বিষয়ে দেন-দরবারের এক পর্যায়ে একটি স্থায়ী শহীদমিনার নির্মাণে কাউন্সিল-কমিউনিটি ঐক্যমতে পৌঁছতে সম হয়। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কমিউনিটিকে প্রস্তাব দেওয়া হয় জায়গা বরাদ্ধ দেবে কাউন্সিল, কিন্তু শহীদমিনার তৈরির খরচ বহন করতে হবে কমিউনিটিকে। এই প্রস্তাবে কমিউনিটির সম্মতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন শুরু করে ফান্ড সংগ্রহ তৎপরতা।

এ তৎপরতায় এগিয়ে আসে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সোনালী ব্যাংক, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জাসদ ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ ৫৪টির মতো সংগঠন। আর এই ৫৪ সংগঠনের যৌথ অংশগ্রহণে গঠন করা হয় কেন্দ্রীয় শহীদমিনার কমিটি। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আলতাব আলী পার্কে স্থায়ী শহীদমিনার নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হলে কেন্দ্রীয় শহীদমিনার কমিটি এর ব্যয় নির্বাহে সম্মতি জানায়।

ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনসহ ৫৪টি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যয় হিসেবে কাউন্সিলের কাছে তুলে দেওয়া হয় প্রায় ২২ হাজার পাউন্ড।

এভাবেই আলতাব আলী পার্কে স্থায়ীভাবে নির্মিত হয় শহীদ মিনার।এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।[৮]


বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. Parks in Tower Hamlets
  2. Exploring East London: Whitechapel
  3. স্মরণ: শহীদ আলতাব আলী
  4. ৪ মে আলতাব আলীর মৃত্যুদিবস
  5. ‘আলতাব আলী’ শুধু বিলেতের বাংলা কমিউনিটির নয়, সমগ্র ইউরোবিডি কমিউনিটির অনুপ্রেরণা।
  6. "শহীদ মিনার"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-০১ 
  7. বিলেতের মাটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি ও বাংলা ভাষার প্রসার। তারেক চৌধুরী, দৈনিক আমার দেশ, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১০, ঢাকা।
  8. ব্রিটেনে বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার